মো. মেহেদী হাসান:
তিতাস গ্যাস গাজীপুর আঞ্চলিক বিপণন বিভাগে বিক্ষিপ্ত ভাবে গ্রাহক সেবার ব্যবস্থা থাকলেও সম্প্রতি ভিন্ন মাত্রায় আলাদা একটি হেল্প ডেস্ক চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।
একজন সহকারি কর্মকর্তা অনবরত গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে থাকেন কার্যালয়ের মূল ফটকের এই ডেস্কে। এর আগে শত শত গ্রাহক প্রতিনিয়ত সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে না বুঝেই সামান্য তথ্যের জন্যও ম্যানেজার বা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কামরায় ভিড় জমাতেন, আবার অনেক সময় পরতেন দালালের খপ্পরে; এ থেকে প্রকৃত সেবা বঞ্চিত হতেন অনেকেই। বর্তমান কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সেবা গ্রহণের পদ্ধতি ও মাধ্যম আরও সহজ করার লক্ষ্যেই এই হেল্প ডেস্ক চালু করেছেন।
তিতাস গ্যাস গাজীপুর অফিসে সেবা প্রত্যাশী আবাসিক গ্রাহক নাজমা আক্তার জানান, ‘এর আগে কোন তথ্য জানতে হলে আমাদেরে এসে ম্যানেজার স্যারের জন্য অপেক্ষা করতে হতো, যা এখন লাগেনা। আজ আমি আমার বকেয়া বিলের পরিমান জানতে আসছিলাম, আমি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই হেল্প ডেস্ক থেকে জেনে নিয়েছি।’
গাজীপুর এনভাইরনমেন্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়ক মো. মেহেদী হাসান জানান, ‘দেখেছি তিতাস গ্যাস গাজীপুর কর্তৃপক্ষ একটি নতুন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে যা প্রশংসনীয় তবে হেল্প ডেস্ক সম্মুখে আগত গ্রাহকদের জন্য পর্যাপ্ত আসন সংখ্যা রাখতে হবে এবং সেবা গ্রহণকে একটা ডিসিপ্লিনের মধ্যে রাখতে হবে যাতে একই সাথে একাধিক গ্রাহক ডেস্কের সামনে ভিড় না করে।’
তিতাস গ্যাস জয়দেবপুরের ম্যানেজার প্রকৌশলী নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ‘প্রায় ষাট শতাংশ সেবা গ্রাহকরা আমাদের নতুন হেল্প ডেস্ক থেকে পাচ্ছেন, বাকি সেবাগুলি উচ্চতর কর্মকর্তারা প্রদান করে আসছেন; এতে করে গ্রাহকদের হয়রানিও কমেছে এবং সময়ও বেঁচেছে।’
তিতাস গ্যাস গাজীপুরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী সাহাজাদা ফরাজি জানান, ‘আমরা গ্রাহক সেবা সহজিকরণে সদা আগ্রহী। আমাদের নতুন হেল্প ডেস্কটিতে শুধু জয়দেবপুর জোনের গ্রাহকরাই নয় এখানে ডিজিএম এবং ডিএমডি’র দপ্তরের অনেক গ্রাহকরাও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।’ এছাড়াও তিনি জানান, ‘ সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও আরো সচেতন হতে হবে, বুঝতে হবে কোনটা দালাল আর কোনটা অফিসিয়াল সেবা। অফিসিয়াল সেবা পেতে দালালদের এড়িয়ে চলতে হবে।’