গাজীপুর জেলায় জবর দখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমির পরিমান প্রায় ৬০৮৬ একর। জবর দখলকারীরা বন উজার করে সেখানে কল-কারখানা, দোকান-পাট, রিসোর্ট/কটেজ, করাত কল, ঘর বাড়ি সহ নানা অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছে। যার ফলে এখানকার জীববৈচিত্র বিলিন হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে। জনস্বার্থে উক্ত সংরক্ষিত বনভূমি জবর দখলকারীদের হাত থেকে উদ্ধার পূবক পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষার নিমিত্তে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।
রবিবার (১৯ নভেম্বর ২০২৩) মহামান্য হাইকোর্ট ডিভশনের মহামান্য বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে উক্ত রিট পিটিশনটি ১৯ নভেম্বর শুনানী হয়। যার রীট পিটিশন নং-৯০৪৯/২৩।
শুনানী শেষে গাজীপুর জেলার সংরক্ষিত বনভূমিতে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কেন আদেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলনিশি জারী করেছে মহামান্য হাইকোর্ট। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রিট পিটিশনারের দাখিলকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রীট পিটিশনারের পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ কাওসার হোসাইন এবং রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন গাজীপুরের সাংবাদিক মোঃ মেহেদী হাসান। এই রিটটিতে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক, ঢাকা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক গাজীপুরকে।
এবিষয়ে পিটিশনার পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ কাওসার হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের এমন আদেশের ফলে সংরক্ষিত বনভূমিতে জবরদখলকারীদের দৌরাত্ম কমবে এবং সংরক্ষিত ভূমির বন উজার বন্ধ হবে যা পরিবেশ ও জলবায়ুর ইতিবাচক পরিবর্তন এনে মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে।তিনি এজাতীয় আদেশের জন্য মহামান্য আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যে সকল গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে: