সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, আপনাদের মাধ্যমে:
‘অননুমোদিত ভবনে পরিচালিত, দূষণকারী ক্লিনিক—ডায়াগনস্টিকের বেআইনি সকল লাইসেন্স প্রত্যাহার ও বন্ধের দাবি জানাচ্ছি’
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
১. আপনারা জানেন যে, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তথা স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যদিও প্রায় শতভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রত্যাশীগণ উপযুক্ত মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করে থাকেন।
২. গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা)’র কাছে তথ্য রয়েছে, গাজীপুর জেলায় ২৮৬ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ১৭৪ টি হাসপাতাল/ক্লিনিক সহ মোট ৪৬৪ টি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন রয়েছে; তার মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে মোট ২৬৬ টি প্রতিষ্ঠানের। এছাড়াও এই জেলায় নিবন্ধন বিহীন আরও বেশ কিছু স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
৩. গাজীপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের দাবি অনুযায়ী, যে সকল প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে : পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স সহ অন্যান্য লাইসেন্স রয়েছে।
৪. ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গাজীপুর অঞ্চল’ তথা ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র কাছ থেকে গাপা’র সংগৃহীত তথ্যমতে, গাজীপুরে চলমান বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবহৃত কোনো ভবনের ‘ব্যবহারের অনুমোদন’ নেই!
৫. গাপা’র অনুসন্ধান অনুযায়ী গাজীপুর জেলায় পরিচালিত প্রায় শতভাগ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিধি মোতাবেক ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) এবং এসটিপি (স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) নেই।
৬. গাপা’র পর্যালোচনান্তে দাবি: যে সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত ভবনের অকুপেন্সি সনদ বা ব্যবহার অনুমোদন নেই এবং চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিধি মোতাবেক ইটিপি ও এসটিপি নেই, সে সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেআইনি ভাবে যথাক্রমে ফায়ার লাইসেন্স, অবস্থানগত-পরিবেশগত ছাড়পত্র, স্বাস্থ্য সেবা লাইসেন্স প্রদান করেছেন।
৭. গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা)’র মন্তব্য ও প্রত্যাশা/দাবি:
মন্তব্য: #১. যে সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবন ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ভবন হিসেবে গড়ে ওঠেনি এবং ব্যবহারের অনুমোদন নেই, সে সকল প্রতিষ্ঠানে রোগীদের সেবা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত আবাসন নেই। #২. যে সকল প্রতিষ্ঠানের বিধি মোতাবেক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা নেই, সে সকল প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বর্জ্য দ্বারা ঐ প্রতিষ্ঠানে আগত রোগী, প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সকলে দূষণের স্বীকার হওয়ার পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে। আরও গুরুত্ব সহকারে অবগত করছি যে, বিধি মোতাবেক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা বিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে আমাদের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষণ হচ্ছে। #৩. অর্থের বিনিময়ে/অবৈধ প্রক্রিয়ায় বেআইনি ভাবে লাইসেন্স সংগ্রহ সহজলভ্য হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র, যখন-তখন একটি ভবন ভাড়া নিয়েই কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই অবৈধ ভাবে শুরু করে দেয় হসপিটাল বা ডায়াগনস্টিক ব্যবসা। আর এসকল কারণেই রোগীদের স্বীকার হতে হয় অপচিকিৎসার, অনেক সময় হারাতে হয় প্রাণ!
প্রত্যাশা/দাবি: *নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সর্বমহল কর্তৃক উৎসাহিত করা। *বেআইনি সকল লাইসেন্স প্রত্যাহার পূর্বক স্বাস্থ্য সেবার নামে অসাধু ব্যবসায়ীদের পরিচালিত সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। *একই সাথে বেআইনি লাইসেন্স প্রদানের সাথে জড়িত সকল সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
ধন্যবাদান্তে
ফেডরিক মুকুল বিশ্বাশ
সভাপতি
গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা)
০১৭১১৬৮৩১৩৬
মো. মেহেদী হাসান
সাধারণ সম্পাদক
গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা)
০১৭১৭৭১১৫৫৭